ঢাকা-চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট বৃদ্ধির শঙ্কা

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

জাতীয় গ্যাস গ্রিডের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট ৪২ ইঞ্চি পাইপলাইন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামতকাজের কারণে মহেশখালী ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ কমে গেছে। ফলে তিতাস ও বাখরাবাদ এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা।

গত ২৭ মে সাগরে ভাসতে থাকা ভাঙা একটি পন্টুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সামিটের এলএনএনজি টার্মিনাল। এতে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলেও ১৭ জুলাইয়ের আগে ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চলমান গ্যাস সংকট ১৫ জুলাই নাগাদ কেটে যাবে। এর মধ্যে এই দুর্ঘটনা গ্যাস সরবরাহের আরও অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

 

পেট্রোবাংলা জানায়, দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় বর্তমানে এক্সিলারেটের টার্মিনাল দিয়ে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। আর দেশের ভেতরের গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিন্তু এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে অন্তত ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে প্রতিদিনই ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি আছে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়,  ঘাটতির কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট চরম আকার নিয়েছে। বাসাবাড়িতে গ্যাস নেই। ঢাকায় সিএনজি স্টেশনসহ পুরান ঢাকা ও আশপাশের বাসাবাড়িতেও গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় গ্যাস সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিলো।

মন্তব্য করুন